সাসপেন্স
Discover all the "সাসপেন্স" related stories

ত্রিধারে তরঙ্গলীলা | পর্ব – ৫৭
মনের ভেতর অদ্ভুত অশান্তি চলছে। কাউকে ভালো লাগছে না। কোনোকিছুতে মন বসছে না। ঘরের দরজা বন্ধ করে বিবশ মুখে বসে রইল সিমরান। একটু আগে তার কাছে সুহাস এসেছিল। ভীষণ ক্রুদ্ধ হয়ে প্রশ্ন করেছে, ‘ সৌধ ফোন করেছিল? ‘ সে জবাব দেয়, ‘ হ্যাঁ। ‘ ‘ কী বলল? ‘ ‘ সন্ধ্যায় বেরুবে।

ত্রিধারে তরঙ্গলীলা | পর্ব – ৫৫
মোবাইল হাতে বসে আছে সিমরান৷ চাতক পাখির ন্যায় তাকিয়ে আছে সময়ের দিকে৷ আর মাত্র একঘন্টা। সৌধ ভাইয়ের ঊনত্রিশতম জন্মদিন। বুক ধুকপুক করছে। প্রতি বছরই এমন সময় পাড় করে সে৷ হৃৎপিণ্ডের অবস্থা নড়বড়ে হয়ে যায়। জন্মদিনের ছোট্ট একটা উইশ। বিনিময়ে সৌধর থেকে ছোট্ট একটি থ্যাংকস পায়।

ত্রিধারে তরঙ্গলীলা | পর্ব – ৫৪
গোধূলি বিকেল৷ দু’কাপ চা বানালো ফারাহ৷ সুহাসের ঘরের বেলকনিতে আইয়াজ, সুহাস বসে আছে নিশ্চুপ। চায়ের কাপ দু’টো নিয়ে সেখানেই উপস্থিত হলো সে৷ ভীষণ মাথা ধরেছে সুহাসের৷ আইয়াজের মুখটা এখনো হতভম্ব। চোখের পলকে কতকিছু ঘটে গেল৷ সে নীরব দর্শক হয়েও দোষের ভাগিদার। কেবলমাত্র বন্ধু সৌধর চোখে৷

ত্রিধারে তরঙ্গলীলা | পর্ব – ৫১
সংসার জীবন সম্পর্কে ধারণা কম সিমরানের। কিন্তু স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার তিক্ত সম্পর্কে ধারণা বেশ৷ ছোটো থেকে বাবা মায়ের মধ্যে তিক্ততা দেখে বড়ো হয়েছে। ঝগড়া, বিবাধ করে কতকাল বাবা, মা একে অপরের মুখ দেখেনি হিসেব ছাড়া। তবে শেষদিকে এসবের অবসান ঘটেছিল। আফসোস একটাই সময়টা ছিল খুবই অল্প। দুঃখের দিনগুলো এত বেশি।

অফিডিয়ান | পর্ব – ৬০
ভার্সিটির স্টুডেন্ট রা সব যত্রতত্র ছোটাছুটি করে ভার্সিটি থেকে বেরিয়ে যেতে চাইছে। পুলিশ ফোর্স এসে দাঁড়িয়ে আছে ভার্সিটির মুখে, কিন্তু তাদের কে হারবার্টের গার্ড গুলো আটকে রেখেছে ভেতরে যেতে দিচ্ছে না, যার কারণে দুই পক্ষের ভেতরে ঝামেলা শুরু হয়ে বেশ বড় আকার ধারণ করতে চলেছে৷

অফিডিয়ান | পর্ব – ৫৯
পুরো ভার্সিটি টা জুড়েই যেন সাজসাজ রব৷ সবাই এদিক ওদিক তাড়াহুড়ো করে ছুটছে। স্টুডেন্ট সহ অন্যান্য টিচার আর স্টাফরা নিজেদের ভেতর ল্যাবরেটরির বিষয় টা নিয়ে নিচু গলায় আলোচনা করছে৷ বিশালদেহী গার্ড গুলো কঠিন চোখে আশপাশ টা পর্যবেক্ষণ করছে আর অস্ত্র হাতে পাহারা দিচ্ছে৷

অফিডিয়ান | পর্ব – ৫৮
ওর কণ্ঠে বিস্ময়ের সুর৷ রুমাইশা নিজের মুখ টা কালো কাপড়ে কায়দা করে বাধতে বাধতে মৃদু স্বরে বলল — এই পৃথিবীতে যদি আমার সবচেয়ে বেশি চেনা কোনো ঘ্রাণ থাকে, তবে সেটা আপনার শরীরের ঘ্রাণ৷

অফিডিয়ান | পর্ব – ৫৭
দরজা খুলতেই সারা শরীর কালো পোশাকে আবৃত কেউ একজন ঝাপিয়ে পড়লো ওর বুকে৷ থতমত খেয়ে গেলো সাফওয়ান, টাল সামলাতে না পেরে পড়ে যেতে নিলো, তাড়াতাড়ি দরজার হাতল ধরে নিজেকে পড়ে যাওয়া থেকে বাচালো ও।

অফিডিয়ান | পর্ব – ৫৬
সাফওয়ান গর্জে উঠলো আবার ও। হিসহিসিয়ে বলল, — রাখ তোদের উপায়, আমি মরি আর বাচি তাতে আমার কিচ্ছু যায় আসে না৷ তবে, আমি যদি এইখান থেকে নিজেকে ছাড়াতে পারি, তবে তোদের বাচার আর কোনো উপায় থাকবে না৷

অফিডিয়ান | পর্ব – ৫৫
কিছু একটা দাঁড়িয়ে আছে সেখানে। শাফিন ভ্রু কুচকে দেখার চেষ্টা করলো, আসলেই সেখানে কিছু আছে, নাকি তার চোখের ভুল! আর ও কিছুক্ষন খেয়াল করে দেখার পর শাফিন বুঝলো যে এটা তার চোখের ভুল নয়, সত্যি সেখানে কিছু একটা, বা কেউ একজন দাঁড়িয়ে আছে৷

অফিডিয়ান | পর্ব – ৫৪
রুনিয়া হলরুমের মেঝেতে বসে বুক চাপড়ে হাহাকার করে কাদছেন। তার সাফওয়ান, তার নাড়িছেড়া ধন, তার প্রথম সন্তান সাফওয়ান নেই! তাকে কারা জানি মেরে ধরে নিয়ে চলে গিয়েছে কোথায়!

অফিডিয়ান | পর্ব – ৫৩
গাড়ি গুলো এসে থামলো একটা নির্দিষ্ট জায়গায়। তিনটা গাড়ির মাঝের সাদা গাড়িটার, মাঝখানের সিটে সাদা রঙা কোট প্যান্ট পরে বসে আছে লুকাস।