রাজনীতি

অনামিকা রহমান

রেডিও কলোনির সিপি রেস্টুরেন্টের টেবিলে বসে আছে,তৃনার বন্ধুমহল।ওয়েটার বয় এসে অর্ডার নিয়ে স্থান ত্যাগ করলো অতি দ্রুত। সবাই টেবিলে বসা থাকলেও তৃনা দাঁড়িয়ে। তৃনা টেবিলে একটা চাপাটি রাখল, দেখেই মনে হচ্ছে মাত্রই কিনে আনা হয়েছে। তৃনার এভাবে টেবিলে চাপাটি রাখার কারন কেউ বুঝতে পারছে না৷

অনামিকা রহমান

দিদারের মোবাইল বেজেই চলেছে। দিদার কল না তোলায়, তৃনার মাথা রাগে টগবগ করছে। ওয়াশরুম থেকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বেরিয়ে এলো দিদার, ফোনে ৭বার মিসড কল উঠে আছে। এটা দেখে যেনো দিদারের গলা ইতোমধ্যে শুকিয়ে গেছে। কাপা কাপা হাতে ডায়েল করল,তৃনার নাম্বারে। ওই পাশ থেকে চেচিয়ে উঠল তৃনা।

অনামিকা রহমান

ইমতিয়াজ ভাই, আপনি তো সব কিছুই শুনেছেন।আমি এখন উত্তরায় আছি। আমি আমার ফ্যামিলিকে খুব ভালোবাসি। আমি পদত্যাগ করতে চাই। আপনি যত শীগ্রই একটা মিটিং ডাকবেন। আমি এসে আমার পদত্যাগের ঘোষণা করে দিব। ইমতিয়াজ ভারাক্রান্ত মনে জবাব দিল, আমার দলে তোমার উপর আমার খুব ভরসা ছিলো।

অনামিকা রহমান

তোকে শুধু এই একটা কারনে আমি রাষ্ট্র বিজ্ঞান নিয়ে পড়াতে চাইনি। কিন্তু তোর মন খারাপ আমি সহ্য করতে পারি না। চাওয়া পাওয়ার ত্রুটি যেনো না হয় তাই তোর মুখের দিকে তাকিয়ে তোকে এই সাবজেক্টে পড়তে দিয়েছি। তুই আমায় কথা দিয়েছিলি তুই এসবের কিছুতেই জড়াবি না।

অনামিকা রহমান

৩০বিঘা জুড়ে এই নদীর পাড় নিয়ে গড়ে উঠেছে ৩০ গোডাউন। অন্যান্য সৌন্দর্যে গেড়া এই জায়গা। নৌকায় বসে উপভোগ করে যাচ্ছে সবাই।। নৌকা ভ্রমণ শেষ হলে, বাসার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে গেলো সবাই।সন্ধ্যে নামার আগেই বাসায় ফেরে সবাই। আপনাকে কিছু বলার ছিল,সানি ভাই।

অনামিকা রহমান

পরীক্ষা শেষ হতে না হতেই ৩য় বর্ষের ছোয়া লেগেছে তৃনার। দেখে নেত্রীর থেকে কম মনে হয় না। সবার অগোচরে নেতৃত্ব দিয়ে কাজ করে যায়। আজ মিটিং এ যোগ দিয়েছে তৃনা। আজকের মিটিং এর মধ্যমনি হয়ে আলোচনা করছে।

অনামিকা রহমান

তোকে যে খবর টা আনতে বলেছিলাম, তোর সেই খবরের হুশ মিলেছে। যেকোনো মূল্যে আমার তৃনার দূর্বলতা জানতেই হবে। সানওয়ার ভাই টেনশন নিয়েন না বিকেলের মধ্যে আপনার খবর এসে হাজির হবে। সানওয়ার রাশভারি গলায় বলল,এই মেয়েটাকে ভাগে আনা যাচ্ছে না,বাগিনীর মতো সব কন্ট্রোল করে।