রোমান্স
Discover all the "রোমান্স" related stories

অপেক্ষা | পর্ব – ৪৩
গত হয়েছে তিনদিন।পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেও ওই ঘটনার রেশ কারোর মন থেকেই পুরোপুরি মুছলো না। রাতের খাবারের আধঘন্টা পর হাফসার রুমে ফিরলেন আরহাম।ঘুমানোর প্রস্তুতি নিয়ে বিছানায় এসেই হাফসার পেটের মধ্যে লাগাতার চুমু খেতে থাকলেন।

অপেক্ষা | পর্ব – ৪২
আরহাম হাতজোড় করে ক্ষমা চাইলেন।কান ধরেও দাঁড়িয়ে রইলেন অনেকক্ষণ।সরিও বললেন।হাফসা মুখ ফিরিয়ে নিলো।প্রিয়তমার রাগ ভাঙ্গাতে ভাঙ্গাতে হাঁপিয়ে উঠলেন ঠিকই তবু রাগ ভাঙ্গানো গেল না।ছোট্ট প্রাণের আবরণে স্পর্শ করে বললেন, ‘তার জন্য হলেও শেষবারের মতো ক্ষমা করে দিন।আই প্রমিস,সবার সামনে আর কখনো আঘাত দিয়ে কথা বলব না।’

অপেক্ষা | পর্ব – ৪১
কিন্তু তিনি একবারও আসলেন না।কিচেনে ডিনার রেডি করছিল হাফসা।আম্মু এসে বললেন, ‘আমি রেডি করছি।আরহামকে নিয়ে আসো তুমি।’ প্রতিদিন এমন হলে দৌড়ে গিয়ে নিয়ে আসতো।আজকে মনে হলো এটা খুব কঠিন ওর জন্য।হাফসার রুম বাদেই অল্প একটু ব্যাবধান।তারপর আরহামের রুম।প্রথমে নিজের রুমে গিয়ে নিজেকে ঠিকঠাক করে হাসিখুশি ফেইস করে বের হলো সে।

অপেক্ষা | পর্ব – ২০
আরহাম ওপর থেকেই লুকিয়ে লুকিয়ে দেখছিলেন। আব্বুর মুখে শাস্তি শুনে আর বের হওয়ার সাহস পান নি।নাহলে উমায়ের এর সামনে কি নয় কি শাস্তি দিবেন আর মানসম্মানের ফালুদা হয়ে যাবে। ‘কি করেছে কি আমার ছেলে?আমার ছেলেকে শাস্তি দিবেন?’

অপেক্ষা | পর্ব – ১৯
উমায়েরের বাড়ি থেকে রাগ করে বেরিয়ে পুরো দেড় ঘন্টা ফুল স্পীডে গাড়ি রান করে এসেছেন।রাগ কমেনি এতক্ষণ পর্যন্ত।নিজেকে কিছুক্ষণের জন্য একা ছেড়ে দিতেই বুঝতে পারলেন রাগটা অহেতুক।রাগটা না করলে এই শেষনিশিতে উনার প্রাণস্পর্শীর কাছেই হয়তো ঠাঁই থাকতো!

অপেক্ষা | পর্ব – ১৮
হাফসার মনটা ভার হয়ে আছে বিকেলে রাদ’ ভাইয়ের সাথে কথা বলার পর থেকে।আরহাম বিকেলেও ফোন করে কথা বলতে চেয়েছিলেন।হাফসা অজুহাত দিয়ে চলে আসে।কথা বলে নি।কেন জানি অসহ্য লাগছে সবকিছু। একটা বিয়ে কিছু মানুষের জীবন কত অদ্ভুত ভাবে পাল্টে দিলো।যেমন আমি নিজে।তেমনি রাদ ভাই!

অপেক্ষা | পর্ব – ১৭
আরহাম নিচে নামতে নামতে কলিং বেল বাজলো।এত সকালে কে হতে পারে?নিউজপেপারের লোক হয়তো!সন্দেহ বশে দরজা খুলতেই আরহাম চমকে গেলেন।অল্পক্ষণের জন্য নিজের চোখ আর মস্তিষ্ক কে যেনো বিশ্বাস করতে পারলেন না।

অপেক্ষা | পর্ব – ১৬
‘কি হয়েছে আরহাম?তুমি এর আগেও কেঁদেছো।হাফসাও কেঁদেছে দেখলাম।মেয়েটা কিছু বলে না।সবকিছু নিজের ভেতর চেপে রাখে।কি হয়েছে দূজনের?কোনো কিছু নিয়ে কথা-কাটাকাটি হয়েছে?বলার মতো হলে বলো আমাকে।’ আরহাম কাঁদোকাঁদো হয়ে মায়ের গলা জড়িয়ে বললেন, ‘সি হার্টস মি আম্মু।’

অপেক্ষা | পর্ব – ১৫
কিছুক্ষণ পর কলিং বেল বাজলো।হাফসা কলিং বেলের শব্দে বারান্দায় বেরোলো।দোতলা থেকে দেখছে আশেপাশে কোনো ম্যাড নেই।কলিং বেল বেজেই যাচ্ছে। দরজা কেন কেউ খুলছে না।মায়ের শরীর ভালো না,তাই শুয়ে আছেন।ওষুধ খেয়ে ঘুমালে উনি লম্বা ঘুম দেন।কিন্তু আপু তো গিয়ে খুলতে পারেন।আর সার্ভেন্ট?সবাই গেল কোথায়?

অপেক্ষা | পর্ব – ১৪
সকালে ঘুম ভাঙ্গতেই হাফসা পাশে থাকা আরহামকে দেখে চমকে গেলো।মানুষটা একদম জড়োসড়ো হয়ে শুয়ে আছেন।তখনই খেয়াল করলো ব্ল্যাঙ্কেট টা তো ওর গায়ে।কিন্ত রাতে তো ছিলো না।উনার কি ঠান্ডা লেগেছিল?উনি তো শেয়ার করতে পারতেন?করলেন না কেন?’

অপেক্ষা | পর্ব – ১৩
হাফসা নিচে নামতেই আরহাম ওর সামনে এগিয়ে আসলেন।হাফসা একেবারে কাছে থেকে উনাকে দেখলো।অতিরিক্ত রাগে উনার কান লাল টকটকে হয়ে আছে।কপালের শিরা নড়ছে বারবার।সাদা মুখশ্রীখানা রক্তবর্ণ ধারণ করেছে। ‘উনার সাথে খারাপ বিহ্যাভ করেছেন আপনি?’

অপেক্ষা | পর্ব – ১২
রুমে এসে দেখলেন হাফসা নামাজ পড়ছে। হিজাবের নিচ দিয়ে যখন হাতটা তুলে দোয়া করতে লাগলো তখন দেখা গেলো উনার হাতে সাদা ব্যান্ডেজ পেঁছানো, ব্যান্ডেজ পেরিয়ে ছোপ ছোপ রক্ত ভাসছে।এ চিএ দেখেই আরহাম দমে গেলেন।হাফসা জায়নামাজ থেকে উঠে কাবার্ডে গিয়ে হাতে কিছু একটা করছিলো।আরহাম নক করলেন না, পেছন থেকে এগিয়ে গেলেন।