রোমান্স
Discover all the "রোমান্স" related stories

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫৬
“নির্বাণ স্যারের ক্লাস টা সত্যি সুন্দর ছিলো বিহান ভাই।” “স্যারের পড়া বুঝতে অসুবিধা হয়নি তো।ক্লাসে যা পড়িয়েছে তাকি বুঝেছিস। ” “হ্যাঁ অসাধারণ ছিলো বুঝবো না ক্যানো?” “স্যারের পড়ানো টা অসাধারণ ছিলো নাকি নাকি স্যারের চেহারা দেখে বলছিস কোনটা।” “দুটোই নির্বাণ স্যারের থেকে কম বয়স স্যার এর আগে দেখি নি।”

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫৫
“ক্লাসে স্যার আসলে বা স্যারের সাথে কথা বলার সময় উঠে দাঁড়াতে হয় জানেন না।” “আমিতো দাঁড়িয়েই আছি বিহান ভাই সরি স্যার।” “বিহান ভাই চারদিকে তাকিয়ে দেখেন সবাই মুখ চেপে হাসছে।আমার তো খেয়াল ই নেই এটা কলেজ এখানে ভাই টাই বলা যাবে না।স্যার বলতে হবে।কি একটা অবস্থা চারদিকে সবাই হাসাহাসি করছে তারা

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫৪
সময় টা শীত কাল।কচুপাতার নিচে শীতের আগমণ মাত্রই শুরু হয়েছে।কুয়াশার চাদর মুড়িয়ে শীত একটু একটু করে প্রবেশ করছে শহরে।সকালে দূর্বাঘাসের উপরশিশিরের বিন্দু বিন্দু জল জমতে শুরু শুরু হয়েছে, রোজ সকালে প্রকৃতি কুয়াশার স্রোতে গোসল করে স্নিগ্ধ হচ্ছে।সময় টা বড্ড ই মিষ্টি।ছয়তলাবিশিষ্ট বাড়িটার তিনতলার পশ্চিমপাশের ফ্যাট টা ভাড়া নিয়েছি আমরা।নিজের স্বপ্ন সত্যি করতে

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫৩
মানুষ মানুষকে মাত্র(.৫০)পয়সা কিভাবে দিতে পারে ভাবা যায়।এটা এক মাত্র ওই আধ্যাতিক মানুষ টার পক্ষেই সম্ভব।উনার জন্য গেম টা নিশ্চিত হেরে গেলাম আমি।আসলে উনাকে বোকা বানানো এতটা সোজা নয়।এর পর বিভোর ভাই বিহান ভাই কে ডেয়ার দিলেন যে কাউকে খুব জোরে একটা থাপ্পড় মারতে হবে?মেহু আপু জিজ্ঞেস করলো বিহান ভাই থাপ্পড় মারলে

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫২
নীল আর কালো রং মানেই আমার কাছে শুভ্র প্রেমের রং।যে রং আমার মন ভালো করে দেয়,যে রং মনের কোনে সুপ্ত অনুভূতির সংমিশ্রণ সৃষ্টি করে।।এই দুইটা রং এ আমার বেশীর ভাগ ড্রেস আর জিনিস পত্র।যেখানেই যায় পছন্দ হিসাবে এই রং দুইটা পছন্দ করি।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫১
“আপনি আমাকে খাসি বললেন কেনো বিহান ভাই?আমি কি পুরুষ মানুষ যে খাসি হতে যাবো।” “তোর যে কানেও সমস্যা আছে এটা তো জানতাম না দিয়া।আচ্ছা তুই মানে কি সমস্যার গোডাউন।এত সমস্যা তোর কি হবে তোর জামাইয়ের।বেচারার জীবন টাই ত্যানা ত্যানা হয়ে যাবে।” “আমার কানে সমস্যা মানে।আমার কানে কবে সমস্যা ছিলো বিহান ভাই।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৫০
কোনো কাজ ই ছোট নয়,তাই কাজ কে ছোট করে দেখা উচিত নয় এমন বুলি আউড়িয়ে বিহান ভাই উনার একটা বাতিল গেঞ্জি দিয়ে ফ্লোরের পানি মুছতে শুরু করলেন।আমি চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছি বিহান ভাই ফ্লোর মুছছেন এটা ইতিহাসে নবম আশ্চর্য।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৪৯
আমার সাথে কথা না বলার কারণ কি দিয়া বেশ শান্ত কন্ঠে বলে দুই প্যান্টের পকেটে হাত গুজে ক্ষুদ্ধ নয়নে তাকিয়ে রইলেন বিহান ভাই।ইগনোর জিনিস টা উনি নিতে পারেন না। বিভোর ভাই এর মামাবাড়ি থেকে বেশী কিছু খান ও নি উনি।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৪৮
সবুজ মেরুর দেশে শুধুই সবুজের সমারোহ।চারদিকে সবুজ ধান ক্ষেত হয়তো পনেরো দিনের মাঝেই ফুল আসবে গাছে।প্রসস্ত বিলের মাঝে চিকন একটা পিজঢালা রাস্তা যার চারদিকের কুল কিনারা দেখা যাচ্ছে না।বাতাসে ধানক্ষেতের ধানের পাতা গুলো দোল খাচ্ছে যেনো স্রোত বয়ে যাচ্ছে ধানের পাতায়।মাঝে মাঝে কাক তাড়ুয়া ও আছে।কৃষক রা ধান হওয়ার আগেই কাকতাড়ুয়া লাগিয়ে

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৪৭
এক্সকিউজ মি!আপনি আমার ওড়ণা দিয়ে আপনার ওই জেল ফেল লাগানো চুল মুছতেছেন।আমার ওড়না ছাড়ুন, ছাড়ুন বলছি।কথাটা বলেই উনার দিকে বিরক্তি নিয়ে তাকালাম। “উনি আমার মুখের উপর ঝুঁকে এসে বললেন, হোয়াট ইজ ইওর প্রব্লেম মিসেস বিহান।বউ আমার,ওড়না আমার বউ এর, আপনি এত রিয়্যাক্ট করছেন কেনো?আমি তো আপনাকে কিছু করছিনা।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৪৬
মাথায় পেইন হয়েছে এমন একটা ভাব ধরে সুয়ে আছি কেননা বিহান ভাই আবার আগের রুপে অবতরণ করেছেন।এখন উনার মাঝে বর বর কোনো ভাব নেই।এখন মামাবাড়িতে যাওয়া মানেই রিস্ক বিহান ভাই সারাক্ষণ বই পড়াবেন না পারলে অনেক অপমান করবেন।

এক বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যা | পর্ব – ৪৫
নিস্তব্ধতা চারদিকে,কোথাও কেউ নেই যতদূর চোখ যায় শুধু সাদা সাদা কাশফুল দেখা যাচ্ছে।ওর কি প্রেমিক প্রেমিকাদের ভালবাসার সাক্ষী হওয়ার জন্য জন্ম নিয়েছে।না জানি কত প্রিয় দের প্রিয় তম মুহুর্তের সাক্ষী ওরা। চাঁদের সোনালি আলোতে জোসনা বিলাস প্রিয় মানুষ টার সাথে করার মতো সৌভাগ্য সবার থাকে না।