রোমান্স
Discover all the "রোমান্স" related stories
পরিজান | পর্ব – ২৭
-‘দেখতেই তো পাচ্ছি ভয়ে কাঁপছেন।’ -‘ভয়ে না শীতে কাঁপছি।’ বলতে বলতে শায়ের ওপর পাশ দিয়ে পালঙ্কে উঠে বসে। পরী মুখ ঘুরিয়ে শুয়ে পড়ল।
পরিজান | পর্ব – ২৬
জ্ঞান ফিরেছে পরীর। চোখ মেলে আশেপাশে তাকিয়ে পরী বুঝতে পারল সে নিজের ঘরে আছে। তাহলে কি পরী এতক্ষণ স্বপ্ন দেখছিলো? পরী চট করে উঠে বসলো।
পরিজান | পর্ব – ২৫
-‘আমাকে নিয়ে ভাবতে আপনাকে হবে না।’ -‘আপনাকে নিয়ে ভাবছি না আমি। নিজেকে নিয়ে ভাবছি। কেউ দেখে ফেললে আমারই বিপদ।’ -‘ওসব কথা থাক। বিন্দুকে কারা মেরেছে?’ -‘আমি সত্যিই জানি না। আমাকে জানার অধিকার আপনার বাবা দেয়নি।’ বিষ্মিত হলো পরী। বলে,’মানে?ভাল করে বলুন।’
পরিজান | পর্ব – ২৪
শেখর সোজা হয়ে দাঁড়াল বলল,’কাজ ছিলো।’ -‘কাজ তো থাকবেই বিয়ে বলে কথা। আমাকে একবার জানালি না। আর তুই নাকি আমাদের সাথে সম্পর্ক রাখবি না।’
পরিজান | পর্ব – ২৩
-‘পরী তুই খুন করলি!!’ -‘মরে গেছে!!সত্যি সত্যি!’ একটু অবাক হলো পরী। কারণ সে বাজে ভাবে জখম করতে চেয়েছিল। কিন্ত পরীর ধারণার চাইতে কোপ টা একটু জোরে হয়ে গেছে। রুপালি পরীর হাত ধরে ঝাঁকিয়ে বলে,’কি করলি পরী!!এখন কি হবে?’
পরিজান | পর্ব – ২২
রাস্তা দিয়ে দৌড়ে আসছে পরী। গায়ের চাদরটা বৈঠকে পড়ে গেছে আসার সময়। গাঢ় কুয়াশার ভেতর দিয়ে দৌড়াতে দৌড়াতে ফর্সা শরীরে বিন্দু বিন্দু শিশির কণা জমেছে।
পরিজান | পর্ব – ২১
ভুলে গেছেন নেকাব পরতে। ভুলে গেছে নিজের সৌন্দর্য লুকাতে। যে পরীর সৌন্দর্য পর্দার আড়ালে লুকানো ছিল আজ সেই পরী পর্দা ভেদ করে বের হয়েছে।
পরিজান | পর্ব – ২০
আবার উচ্চস্বরে হেসে ওঠে বিন্দু। ওর হাসিতে মুখরিত হয় এই কুয়াশাময় সকাল। খেজুর গাছের উপর থেকে মহেশ মেয়ের হাসির শব্দ শুনে হাঁক ছাড়ে,’কি রে মা কার লগে কথা কইয়া হাসোস??’
পরিজান | পর্ব – ১৯
আফতাব এবার কড়া চোখে মালার দিকে তাকিয়ে বলে,’পাগল হয়ে গেছে তোমার মেয়ে। সামলাও মেয়েকে।’ বলেই আফতাব অন্দর ছেড়ে চলে গেলেন। মালা পরীর গালে পরপর কয়েকটা থাপ্পড় বসিয়ে ওর ঘরে আটকে রাখলো।
পরিজান | পর্ব – ১৮
আফতাবের আগেই পরী এগিয়ে এসে জবাব দিল,’আপনার ভাইকে জবান সামলে কথা বলতে বলুন আব্বা। না জেনে ওনাকে কেন দোষ দিচ্ছেন? দোষ তো আপনাদের। কথা দিয়ে কথা রাখেননি আপনারা যার জন্য আমাদের বিপদে পড়তে হয়েছে। আর উনি না থাকলে আমাদের বেঁচে ফেরা সম্ভব হত না।’
পরিজান | পর্ব – ১৭
মালা যে শায়ের কে খাইয়ে দিয়েছে তা পরীর কানে যেতে সময় লাগলো না। পরীর চামচা কুসুম গিয়ে বলে,’জানেন পরী আপা বড় মায় শায়ের ভাইরে খাওয়াইয়া দিছে আইজ। ভাইয়ের হাত নাকি পুইড়া গেছে। আমি নিজের চক্ষে দেইখা আইলাম।’
পরিজান | পর্ব – ১৬
-‘তোর সাহস তো কম না আমাকে শাসাস!!ভয় দেখাস আমাকে??সেদিনের পুচকে মেয়ে। জীব টেনে ছিড়ে ফেলব তোর বাপ ও কিছু বলবে না।’ -‘পরীর কলিজায় হাত দেবেন এতো বড় কলিজা আপনার??ওই কলিজায় তলোয়ার চালাতে পরীর হাত কাঁপবে না। সাবধান,আপনাকে কিন্ত পরী ছেড়ে দিবে না।’