রোমান্স

মৌসুমী আক্তার

বাবা ভাইয়া,আম্মু,কাকিমনিরা সবাই এগিয়ে এলো আমাদের দেখে।মাছ,মাংস,ফল সবাই ধরে এগিয়ে নিয়ে গেলো ভেতরে।আয়রা ছুটে এসে বিহান ভাই এর কোলে উঠলো।বিভোর ভাই শালিকা বলে ডেকে চকলেট ধরিয়ে দিলো হাতে।আয়রা চকলেট পেয়ে ভীষণ খুশি।

মৌসুমী আক্তার

পৃথিবীর সর্বোত্তম সুন্দর মুগ্ধতাম সকাল আজ আমার জন্য।আমার জীবনে কেটে যাওয়া অন্য সব সকালে এতটা ভালো অনুভূতি আমার কখনোই হয়নি।জীবন টা সত্যি উপভোর করার মতো যদি পারমানেন্ট একটা মানুষ থাকে।কালকের কথা ভেবেই ভীষণ লজ্জা লাগছে,বেশী লজ্জা লাগছে সেই গভীর চুম্বনের কথা ভেবে।নিমিষেই লজ্জারা ভীড় করলো আমার আঙিনায়,সর্বাঙ্গে ছড়িয়ে পড়লো লাজুকতার ছোঁয়া।

মৌসুমী আক্তার

গোলাকৃতির এই টিনসেটের ঘরে কৃত্রিম আলো জলছে লাল নীল হলুদ রঙের।উনার থুতনিতে উনার হাত বাঁধানো নিষ্পলক তাকিয়ে নিচের ঠোঁট কামড়ে হেসে যাচ্ছে।স্নিগ্ধ প্রেমের অনুভূতি উনার চোখে মুখে স্পষ্ট ক্লিয়ার ভেষে উঠেছে।আমি তৎক্ষনিক অন্য দিকে ঘুরে দাঁড়ালাম।দুইহাতে মুখ ঢাকলাম।

মৌসুমী আক্তার

‘প্লিজ বোন আমি না তোর ভাই।আমাকে রিয়ার সাথে রিলেশন করিয়ে দে প্লিজ।আমার ভীষণ ভালো লাগে রিয়াকে।বাট রিয়া আমাকে খারাপ মনে করে।ওর ধারণা আমি ফ্লার্টিং এর প্রিন্সিপাল। ‘

মৌসুমী আক্তার

একটা মানুষের মুখের প্রতিটা স্পিলিং এতটা ইমপ্রেসিং কিভাবে হতে পারে বুঝিনা।কথা বলার এটিটিউড ধরণ সব কিছুই আলাদা।নাকি আমার কাছেই উনার সব কিছু এমন স্পেশাল লাগে।

মৌসুমী আক্তার

“উনি আমার মুখে আঙুল ঠেকিয়ে বললেন, নো ভাই মিসেস বিহান।জাস্ট বিহান তোমার মুখে কত বেশী কিউট লাগে তুমি জানো?ভুল করেও তো বলতে পারো,নাম ধরে ডাকতে পারো।”

মৌসুমী আক্তার

“তোকে ভালবাসি, এক পৃথিবী সমান ভালবাসি। এই পৃথিবীতে বড় একটা নোটিস লাগাবো।যেখানে লিখে রাখবো এই পিচ্চি টা আমার মানে আমার।এই পিচ্চিকেই লাগবে আমার।এই আনম্যাচিউর, কম বোঝা পিচ্চিকেই চাই আমার।পিচ্চির শহরে অন্য কারো প্রবেশ নিষিদ্ধ। এই নিষিদ্ধ শহরে থাকবে শুধু আমার বসবাস।”

মৌসুমী আক্তার

বিয়ের আগে মেহু আপু, তোহা আপু, রিয়া আমাকে বাসর ঘর নিয়ে অনেক কিছু এডভান্স বলে দিয়েছে।আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম উনি বাসর ঘরে ঢুকে আমার সাথে ঘনিষ্ট হতে চাইছেন সেকথা বুঝবো কিভাবে। মেহু আপু বলেছে,শোন দিয়া রোমাঞ্চ এর আগে ছেলেরা প্রথমে ঘরে প্রবেশ করেই সিটকিনী লাগিয়ে গায়ের কাপড় খুলতে শুরু করে।তার পর ধীরে ধীরে তোর দিকে আগাবে।

মৌসুমী আক্তার

‘কৌতুহল নিয়ে জানতে ইচ্ছা হলো সত্যি কি আমাকে বললেন।উনার মুখ থেকেই শুনতেই চাই আমি যে উনি বলুক দিয়া আই লাভ ইউ।তাই আবার ও বললাম আমাকে কেনো বললেন,আমাকে বলবেন ই বা কেনো?আপনার শ্বশুরের মেয়েকে বলুন।’ ‘শ্বশুরের মেয়েকেই তো বললাম।তোকে আবার কখন কি বললাম।’

মৌসুমী আক্তার

–বিহান ভাই অসভ্যতার একটা লিমিট আছে আপনি দেখছেন আমি গোসল করছি তবুও কথা নেই বার্তা নেই নক না করে চলে এলেন কেনো? তাছাড়া এটা আমার ওয়াশরুম, বলেই দ্রুত টাওয়াল পেচালাম শরীরে।ভেজা কাপড়ে খুব ই আনইজি লাগছে আমার।ওয়াশ রুমের ভেতরে চেঞ্জ করার জন্য এনে রাখা শাড়িটা দিয়ে আগে শরীর ঢেকে নিলাম।

মৌরি মরিয়ম

তিতিরের শরীর প্রচন্ড গরম। চোখগুলো লাল হয়ে আছে, অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছে। ও বোধহয় জ্বরের ঘোরে নিজেকে কন্ট্রোলে রাখতে পারেনি তাই চলে এসেছে। জ্বর কমলে, ঘোর কাটলে তো চলেই যাবে। শুধু শুধু মায়া বাড়াতে এল মেয়েটা! -“এই দাওনা। খাবোতো!” মুগ্ধর ঘোর কাটলো। বলল, -“কি দেব?” -“তোমার ঘুমু ঘুমু ভয়েসটা।”

মৌরি মরিয়ম

সবাই একে একে ঘর থেকে বেড়িয়ে গেল। শুধু চম্পা ঘরের এক কোনায় বসে কাঁদতে লাগলো। তিতির উপুর হয়ে শুলো। পিঠটা বিছানায় রাখতে পারছে না। পিঠের এমন কোন যায়গা নেই যে স্কেল পড়েনি। কোথাও কোথাও একই যায়গায় বারবার পড়েছে। উপুর হয়েও ব্যাথা অনুভব করলো। বুকে, পেটেও বোধহয় দুএকটা লেগেছে।